Jan 26, 2020

সূরা ইখলাস বাংলা অর্থসহ।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি।
meaning of sura ikhlas

Sura No-112 (সূরা নং-১১২)

Sura lkhlas (সূরা ইখলাস)

মোট আয়াত সংখ্যাঃ ৪ টি।
নাজিলের স্থানঃ সূরা ইখলাস পবিত্র মক্কা নগরীতে নাজিল হয়। এজন্য এই সূরাকে মাক্কী সূরা বলে।
আয়াত নং    বাংলায় অর্থ                 আরবি আয়াত
১। বল, (হে নবী) তিনিই আল্লাহ, এক- অদ্বিতীয়। 

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

২।আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন।

اللَّهُ الصَّمَدُ

৩।তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

৪।এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

সূরা ইখলাসের শাব্দিক অর্থ

আবরী শব্দ

বাংলা অর্থ

قُلْ

 ( হে নবী ) বলো, বলুন

هُوَ

তিনি, সে, সেই

اللَّهُ

আল্লাহ

أَحَدٌ

এক, অদ্বিতীয়

الصَّمَدُ

মুখাপেক্ষী নন, অমুখাপেক্ষী, স্বনির্ভর, অন্যের উপর নির্ভরশীল নয়।

لَمْ

অতীতের না বোধক অর্থে ব্যবহৃত হয়।

لَمْ يَلِدْ

তিনি জন্ম দেননি,

وَ

এবং

لَمْ يُولَدْ

তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি, (কর্মবাচ্য)

لَمْ يَكُنْ

হয় না।

لَهُ

তার জন্য, তার সমান

كُفُوًا

 সমকক্ষ

أَحَدٌ

 কেউ
সূরা ইখলাসের শানে নুযুলঃ-  হযরত জাবীর (রাঃ) হতে বর্নিত তিনি বলেন, একজন বেদুইন নবী করিম (সঃ) এর কাছে এসে বললেন,“আমার সামনে আপনার প্রতিপালকের গুনাবলী বর্ননা করুন।” তখন আল্লাহ তায়ালাقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ সূরাটি নাজিল করেন। অন্য এক বর্ণনায় আছে কুরায়েশদের এক প্রশ্নের জওয়াবে আল্লাহ তায়ালা এই সূরাটি নাজিল করেন।
সূরা ইখলাসের অনেক ফজিলাত রয়েছে।
১।ইসমাঈল (রহঃ) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যাক্তি অপর এক ব্যাক্তিকে বারবার ইখলাস” সূরাটি তিলাওয়াত করতে শুনল। সকাল বেলা সে ব্যাক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে উপস্থিত হয়ে তার নিকট এ ব্যাপারটি উল্লেখ করল। সে ব্যাক্তিটি যেন সূরা ইখলাসের (মহত্তকে) কম করে দেখছিল। এই প্রেক্ষিতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম করে বলছি! এই সূরাটি মর্যাদার দিক দিয়ে অবশ্যই কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ। ইসমাঈল ইবনু জাফর কাতাদা ইবনু আল নূমান (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (কিছুটা) বৃদ্ধি সহকারে বর্ণনা করেছেন।
২। মুহাম্মদ (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে একটি মুজাহিদ দলের প্রধান করে জিহাদে পাঠালেন। সালাত (নামায/নামাজ) তিনি যখন তাঁর সাথীদের নিয়ে ইমামতি করতেন, তখন ইখলাস সূরাটি দিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করতেন মুজাহিদগণ সেই অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাঁকেই জিজ্ঞাসা কর কেনই বা সে এই কাজটি করেছে? এরপর তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিলেন, এই সুরাটিতে আল্লাহ তায়াআলার গুনাবলি রয়েছে। এই জন্য সুরাটি তিলাওয়াত করতে আমি ভালোবাসি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ পাক তাঁকে ভালবাসেন।

No comments:

Post a Comment