Mar 17, 2020

করোনা ভাইরাস কি? করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়।

করোনা ভাইরাস কী?


কোভিড-১৯ যা আমাদের কাছে করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। এটি  নিদুভাইরাস শ্রেণির করোনা ভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনা ভাইরিনা  উপগোত্রের একটি সংক্রমন ভাইরাস প্রজাতি। ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূত্রপাত ঘঠে। বিশেযজ্ঞরা বলছেন এটির উৎপত্তি কোনও প্রাণী এর উৎস থেকেই হয়েছে। অর্থাৎ  কোন প্রাণি যেমন মুরগী, খরগোশ, বাঁদুড়, সাপ অথবা বিষাক্ত কোন পোকা মাকড় থেকেই প্রথমে ভাইরাসটি কোনো মানুষের দেহে ঢুকেছে এবং তারপর এক মানুষ থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়েছে যা এখন সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। 

corona virus




করোনা সংক্রমের কারণ ও ভয়াবহতাঃ


করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ হলো  শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, শরীরে এই ভাইরাস ঢোকার পর সংক্রমনের লক্ষণ দেখাদিতে প্রায় ৫ দিন লেগে যেতে পারে  এবং কাশি দেখা দিতে পারে । পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় । গলায় ব্যাথা হতে পারে, অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা। 


চীনের ব্যপকতার পরে এখন সমগ্র ইউরোপে প্রকট আকার ধারণ করেছে এই করোনার আক্রমন। ইতালিতে প্রতিদিন শতশত মানুষ মরছে। মানুষ এখন কার্যত  গৃহবন্দী ইতালিতে। লোকজন ঘরের বাহিরে বের হলেই জরিমান করছে প্রশাসন যাতে বিস্তার রোধ করা যায় তবুও থামানো যাচ্ছেনা করোনা।   সমগ্র ইউরোপ যেন এখন এক মৃত্যকূপে পরিনত হয়েছে। এছাড়া এশিয়ার প্রায় সকল দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে হুড়হুড় করে। মধ্যপ্রাচ্যেও করোনা এখন মহামারী রুপ নিয়েছে। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। ইতিমধ্যে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে  এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 





Corona Virus image










করোনার চিকিৎসাঃ

এই ভাইরাসটি যেহেতু নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো নেই, এবং এমন কোন চিকিৎসা নেই যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। তবে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশাকরি ইনশাআল্লাহ দ্রুত এর ভ্যকসিন আবিষ্কার হবে। 


করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পদক্ষেপঃ

তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে


Corona Virus precaution




১। যারা ইতিমধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের হাসপাতালে নিতে হবে।

২। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।

৩। আপাতত অপ্রয়োজনীয় হ্যান্ডশেক এড়িয়ে চলুন।

৪। ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক বা মুখোশ পরতে হবে।

৫।  বারবার হাত পরিষ্কার করতে হবে। 

হাঁচি কাশির পর, টয়লেট ব্যবহারের পর, অসুস্থদের যত্ন নেওয়ার পর, খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পরে, হাত ময়লা হলে, প্রাণি বা প্রাণিবর্জ্য  এ হাত লাগলে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে।



করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়াঃ




اَللّٰهُمَّ إِنِّیْ أَعُوْذُبِکَ مِنَ الْبَرَصِ، وَالْجُنُوْنِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَیِّءِ الاَسْقَامِ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’য়ুজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুঝামি, ওয়ামিন সাইয়্যিল আসকাম।

হে আল্লাহ অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ,কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্নক ব্যাধি থেকে.আশ্রয় চাচ্ছি।এ দোয়াটি আমরা যে কোন সময় আল্লাহর কাছে যে কোন দূরারোগ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য বেশি বেশি পড়তে পারি।


এছাড়া সকাল সন্ধ্যায় যে দোয়া গুলো আছে সেগুলো পড়তে পারেন। 


বাসা থেকে বাহির হওয়ার সময় পড়বেন-  بسم الله توكلت علي الله -لاحول ولاقوة الا بالله  

বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ। লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

 অর্থ- আল্লাহর নামে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে বের হচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ভালো কাজ করার কিংবা মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা সম্ভব নয়। 


এই দোয়াটি পড়ে বের হলে আল্লাহ পাক তাকে হেফাজত করবেন। নফল নামাজ পড়ে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, দেশের জন্য এবং সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য দোয়া করবেন। 



এছাড়া আতঙ্কিত না হয়ে উপরোক্ত পরামর্শ গুলো মেনে চলুন। আল্লাহর উপর আস্থা রাখুন। যিনি রোগ দিয়েছেন তার কাছে বেশি বেশি সাহায্য চাইতে হবে। রোগকে এত ভয় না করে আল্লাহকে ভয় করি তাহলে আল্লাহ রহম করলে আমাদের উপর থেকে এ গজব চলে যেতে পারে।