Jan 28, 2020

বুখারী শরীফ,১ম খন্ড, অধ্যায়-৫, বিষয়ঃ- গোসল ও তার বিবরণ।

হাদীস নং-২৪৬ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ)......... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানবাতের গোসল করতেন, তখন প্রথমে তাঁর হাত দু’টো ধুয়ে নিতেন। তারপর সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র মত উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন। তারপর তাঁর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। তারপর তাঁর উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তাঁর সারা দেহের উপর পানি পৌঁছিয়ে দিতেন।
হাদীস নং-২৪৭ মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ)......... মায়মুনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র ন্যায় উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন, অবশ্য পা দুটো ছাড়া এবং তাঁর লজ্জাস্থান ও যে যে স্থানে নাপাক লেগেছে তা ধুয়ে নিলেন। তারপর নিজের উপর পানি ঢেলে দেন। তারপর সেখান থেকে সরে গিয়ে পা দুটো ধুয়ে নেন। এই ছিল তাঁর জানবাতের গোসল।
হাদীস নং-২৪৮আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ)... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রে (কাদাহ) থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।
হাদীস নং-২৪৯ আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ)...... আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও ‘আয়িশা (রাঃ)-এর ভাই ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁর ভাই তাঁকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি প্রায় এক সা’ (তিন কেজির চেয়ে কিছু পরিমাণ বেশি)-এর সমপরিমান এক পাত্র আনালেন। তারপর তিনি গোসল করলেন এবং নিজের মাথার উপর পানি ঢাললেন। তখন আমাদের ও তাঁর মাঝে পর্দা ছিল।
আবূ ‘আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেন যে, ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহঃ), বাহয ও জুদ্দী (রহঃ) শু’বা (রহঃ) থেকে نَحْوًا مِنْ صَاعٍ  এর পরিবর্তে قَدْرِ صَاعٍ  (এক সা’ পরিমাণ)-এর কথা বর্ণনা করেন।
হাদীস নং-২৫০ আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ)...... আবূ জা’ফর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ও তাঁর পিতা জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কাছে ছিলেন। সেখানে আরো কিছু লোক ছিলেন। তাঁরা তাঁকে গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, এক সা’ তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন এক ব্যাক্তি বলে উঠলঃ আমার জন্য তা যথেষ্ট নয়। জাবির (রাঃ) বললেনঃ যাঁর মাথায় তোমার চাইতে বেশি চুল ছিল এবং তোমার চাইতে যিনি উত্তম ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য তো এ পরিমাণই যথেষ্ট ছিল। তারপর তিনি এক কাপড়ে আমাদের ইমামতি করেন।
হাদীস নং-২৫১ আবূ নু’আয়ম (রহঃ)...... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মায়মূনা (রাঃ) একই পাত্রের পানি দ্বারা গোসল করতেন।
আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উয়ায়না (রহঃ) তাঁর শেষ জীবনে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর মাধ্যমে মায়মূনা (রাঃ) থেকে ইহা বর্ণনা করতেন। তবে আবূ নু’আয়ম (রাঃ)-এর বর্ণনাই ঠিক।
হাদীস নং-২৫২ আবূ নু’আয়ম (রহঃ)...... জুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি মাথায় তিনবার পানি ঢেলে থাকি। এই বলে তিনি উভয় হাতের দ্বারা ইশারা করেন।
হাদীস নং-২৫৩ মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ)...... জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন।
হাদীস নং-২৫৪ আবূ নু’আয়ম (রহঃ)...... আবূ জা’ফর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাকে জাবির (রাঃ) বলেছেন, আমার কাছে তোমার চাচাত ভাই অর্থাৎ হাসান ইবনু মুহাম্মদ ইবনু হানাফিয়্যা এসেছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, জানবাতের গোসল কিভাবে করতে হয়? আমি বললাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন আঁজলা পানি নিতেন এবং নিজের মাথার উপর ঢেলে দিতেন। তারপর নিজের সারা দেহে পানি পৌঁছিয়ে দিতেন। তখন হাসান আমাকে বললেন, আমার মাথার চুল খুব বেশি। আমি তাঁকে বললাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল তোমার চেয়ে অধিক ছিল।
হাদীস নং-২৫৫ মূসা ইবনু ইসমা‘ঈল (রহঃ)...... ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মায়মূনা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন আর তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। এরপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন।
হাদীস নং-২৫৬ মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ)...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানবাতের গোসল করতেন, তখন হিলাবের অনুরূপ পাত্র চেয়ে নিতেন। তারপর এক আঁজলা পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান পাশ এবং পরে বাম পাশ ধুয়ে ফেলতেন। দু’হাতে মাথার মাঝখানে পানি ঢালতেন।
হাদীস নং-২৫৭ উমর ইবনু হাফস্ ইবনু গিয়াস (রহঃ)...... ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মায়মূনা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গোসলের পানি ঢেলে রাখলাম। তিনি তাঁর ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতে পানি ঢাললেন এবং উভয় হাত ধুইলেন। এরপর তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে নিলেন এবং মাটিতে তাঁর হাত ঘষে নিলেন। পরে তা ধুয়ে কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তারপর তাঁর চেহারা ধুইলেন এবং মাথার উপর পানি ঢাললেন। পরে ঐ স্থান থেকে সরে গিয়ে দুই পা ধুইলেন। অবশেষে তাঁকে একটি রুমাল দেওয়া হল, কিন্তু তিনি তা দিয়ে শরীর মুছলেন না।
হাদীস নং-২৫৮ আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর হুমায়দী (রহঃ)....... মায়মূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানবাতের গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত ঘষলেন এবং তা ধুইলেন। তারপর সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র মত উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু পা ধুইলেন।
হাদীস নং-২৫৯ আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ)........ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রের পানি দিয়ে এভাবে গোসল করতাম যে, তাতে আমাদের দু’জনের হাত একের পর এক পড়তে থাকত।
হাদীস নং-২৬০মূসা’দ্দাদ (রহঃ)...... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানবাতের গোসল করার সময় প্রথমে হাত ধুয়ে নিতেন।
হাদীস নং-২৬১ আবূল ওয়ালীদ (রহঃ)...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রের পানি দিয়ে জানবাতের গোসল করতাম।
‘আবদুর রহমান ইবনু কাসিম (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদীস নং-২৬২ আবূল ওয়ালীদ (রহঃ)........ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার স্ত্রীদের কেউ কেউ একই পাত্রের পানি নিয়ে গোসল করতেন। মুসলিম (রহঃ) এবং ওয়াহ্ব ইবনু জারীর (রহঃ) শু’বা (রাঃ) থেকে ‘তা ফরয গোসল ছিল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং-২৬৩ মূসা ইবনু ইসমা’ঈল (রহঃ)....... মায়মূনা বিনত হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গোসলের পানি রেখে পর্দা করে দিলাম। তিনি পানি দিয়ে দু’বার কিংবা তিনবার হাত ধুইলেন। সুলায়মান (রহঃ) বলেন, তৃতীয়বারের কথা বলেছেন কিনা মনে পড়ে না। তখন তিনি ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতে ঢাললেন এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নিলেন। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেওয়ালে ঘষলেন। পরে তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং তাঁর চেহারা ও দু’ হাত ধুইলেন এবং মাথা ধুয়ে ফেললেন্ তারপর তাঁর শরীরে পানি ঢেলে দিলেন। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধুইলেন। অবশেষে আমি তাঁকে একখন্ড কাপড় দিলাম; কিন্তু তিনি হাতের ইশারায় নিষেধ করলেন এবং তা নিলেন না।
হাদীস নং-২৬৪ মুহাম্মদ ইবনু মাহবূব (রহঃ)...... মায়মূনা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম, তিনি উভয় হাতে পানি ঢেলে দু’বার করে বা তিনবার করে তা ধুইয়ে নিলেন। এরপর তিনি ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতে ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধুইলেন। পরে তাঁর হাত মাটিতে ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। তারপর তাঁর মাথা তিনবার ধুইলেন এবং তাঁর সারা শরীরে পানি ঢাললেন। অবশেষে সেখান থেকে একটু সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধুয়ে ফেললেন।
হাদীস নং-২৬৫ মুহাম্মদ ইবনু বাশ্‌শার (রহঃ)...... মুহাম্মদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে [আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ)]-এর উক্তিটি* উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খুশবু লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহ্‌রাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো।
[আবদুল্লাহ্ ইব্ন ‘উমর (রা)]-এর উক্তিটি: আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধতে পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে ।
হাদীস নং-২৬৬ মুহাম্মদ ইবনু বাশ্‌শার (রহঃ)...... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে। সা’ঈদ (রহঃ) কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আনাস (রাঃ) তাঁদের কাছে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন।
হাদীস নং-২৬৭ আবূল ওলীদ (রহঃ)...... ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার অধিক মযী বের হতো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা আমার স্ত্রী হওয়ার কারনে আমি একজনকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠালাম। তিনি প্রশ্ন করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ উযূ (ওজু/অজু/অযু) কর এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেল।
হাদীস নং-২৬৮ আবূ নু’মান (রহঃ)...... মুহাম্মদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ)-এর উক্তি উল্লেখ করলাম, -“আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে। ” ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তারপর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহ্‌রাম অবস্থায় প্রভাত হয়েছে।
হাদীস নং-২৬৯ আদম ইবনু (রহঃ)...... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি যেন এখনো দেখছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহ্‌রাম অবস্থায় তাঁর সিথিতে খুশবুর ঔজ্জ্বল্য রয়েছে।
হাদীস নং-২৭০ আবদান (রহঃ)......... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাবতের গোসল করতেন, তখন তিনি দু’হাত ধুইতেন এবং সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র মত উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন। তারপর গোসল করতেন। পরে তাঁর হাত দিয়ে চুল খিলাল করতেন। চামড়া ভিজেছে বলে যখন তিনি নিশ্চিত হতেন, তখন তাতে তিনবার পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীর ধুয়ে ফেলতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) আরো বলেছেনঃ আমি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্র থেকে গোসল করতাম। আমরা একই সাথে তা থেকে আঁজলা ভরে পানি নিতাম।
হাদীস নং-২৭১ ইউসুফ ইবনু ‘ঈসা (রহঃ)......... মায়মূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলেন। তারপর দু’বার বা তিনবার ডান হাতে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধুইলেন। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেওয়ালে দু’বার বা তিনবার ঘষলেন। পরে তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও দু’হাত ধুইলেন। তারপর তাঁর মাথায় পানি ঢাললেন এবং তাঁর শরীর ধুইলেন। একটু সরে গিয়ে তাঁর দুই পা ধুইলেন। মায়মূনা (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি একখন্ড কাপড় দিলে তিনি তা নিলেন না, বরং নিজ হাতে পানি ঝেড়ে ফেলতে থাকলেন।
হাদীস নং-২৭২ আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ)......... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার সালাত (নামায/নামাজ)-এর ইকামত দেওয়া হলে সবাই দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করছিলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে বেরিয়ে আসলেন। তিনি মূসাল্লায় দাঁড়ালে তাঁর মনে হল যে, তিনি জানবাত অবস্থায় আছেন। তখন তিনি আমাদের বললেনঃ স্ব স্ব স্থানে দাঁড়িয়ে থাক। তিনি ফিরে গিয়ে গোসল করে আবার আমাদের সামনে আসলেন এবং তাঁর মাথা থেকে পানি ঝরছিল। তিনি তাকবীর (তাহ্‌রীমা) বাঁধলেন, আর আমরাও তাঁর সাথে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম।
আবদুল আ’লা (র) যুহরী (র) থেকে এবং আওযাঈ (র)-ও যুহরী (র) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং-২৭৩ আবদান (রহঃ)...... মায়মূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম এবং কাপড় দিয়ে পর্দা করে দিলাম। তিনি দু’হাতের উপর পানি ঢেলে উভয় হাত ধুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধুইলেন। পরে হাতে মাটি লাগিয়ে ঘষে নিলেন এবং ধুয়ে ফেললেন। এরপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, চেহারা ও দু’হাত (কনুই পর্যন্ত) ধুইলেন। তারপর মাথায় পানি ঢাললেন ও সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছালেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। এরপর আমি তাঁকে কাপড় দিলাম কিন্তু তিনি তা নিলেন না। তিনি দু’হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।
হাদীস নং-২৭৪ খাল্লাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ)......... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাদের কারও জানবাতের গোসলের প্রয়োজন হলে সে দু’হাতে পনি নিয়ে তিনবার মাথায় ঢালত। পরে হাতে পানি নিয়ে ডান পাশে তিনবার এবং আবার হাতে পানি নিয়ে বাম পাশে তিনবার ঢালত।
হাদীস নং-২৭৫ ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ)...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের লোকেরা নগ্ন হয়ে একে অপরকে দেখা অবস্থায় গোসল করত। কিন্তু মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাকী গোসল করতেন। এতে বনী ইসরাঈলের লোকেরা বলাবলি করছিল, আল্লাহর কসম! মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘কোষবৃদ্ধি’ রোগের কারনেই আমাদের সাথে গোসল করে না। একবার মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটা পাথরের উপর কাপড় রেখে গোসল করছিলেন। পাথরটা তাঁর কাপড় নিয়ে পালাতে লাগল। তখন মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম “পাথর! আমার কাপড় দাও, পাথর! আমার কাপড় দাও” বলে পেছন পেছন ছুটলেন। এদিকে বনী ইসরাঈল মূসার দিকে তাকাল। তখন তারা বলল, আল্লাহর কসম! মূসার কোন রোগ নেই। মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাথর থেকে কাপড় নিয়ে পরলেন এবং পাথরটাকে পিটাতে লাগলেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! পাথরটিতে ছয় কিংবা সাতটি পিটুনির দাগ পড়ে গেল।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) আরো বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক সময় আইয়ূব আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবস্ত্রাবস্থায় গোসল করছিলেন। তখন তাঁর উপর সোনার পঙ্গপাল বর্ষিত হচ্ছিল। আইয়ূব আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কাপড়ে সেগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন। তখন তাঁর রব তাঁকে বললেনঃ হে আইয়ূব! আমি কি তোমাকে এগুলো থেকে অমুখাপেক্ষী করিনি? উত্তরে তিনি বললেন, হাঁ, আপনার ইয্যতের কসম! অবশ্যই করেছেন। তবে আমি আপনার বরকত থেকে বেনিয়ায নেই। এভাবে বর্ণনা করেছেন ইব্রাহীম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একবার আইয়ূব আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবস্ত্রাবস্থায় গোসল করেছিলেন।
হাদীস নং-২৭৬ আবদুল্লাহ ইবনু মুসলি (রহঃ)...... উম্মে হানী বিনত আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে তাঁকে গোসলরত অবস্থায় দেখলাম, ফাতিমা (রাঃ) তাঁকে পর্দা করে রেখেছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইনি কে? আমি বললামঃ আমি উম্মে হানী।
হাদীস নং-২৭৭ আবদান (রহঃ)... মায়মূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর্দা করেছিলাম আর তিনি জানবাতের গোসল করছিলেন। তিনি দু’হাত ধুইলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান এবং যেখানে কিছু লেগেছিল তা ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে বা দেওয়ালে হাত ঘষলেন এবং দু’পা ছাড়া সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র মতই উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। তারপর তাঁর সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছালেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুইলেন। আবূ আওয়ানা (রহঃ) ও ইবনু ফুযাইল (রহঃ) সতর (পর্দা করা)-এর ব্যাপারটি এই হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং-২৭৮ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ)...... উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবূ তালহা (রাঃ)-এর স্ত্রী উম্মে সুলায়ম (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আল্লাহ্ তা’আলা হকের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। স্ত্রীলোকের ইহ্‌তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে কি গোসল ফরয হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যঁ। , যদি তারা বীর্য দেখে।
হাদীস নং-২৭৯ আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ)...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তাঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক পথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখা হল। আবূ হুরায়রা (রাঃ) তখন জানবাতেরঅবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ আবূ হুরায়রা ! কোথায় ছিলে? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি জানবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। তিনি বললেনঃ সুবাহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না।
হাদীস নং-২৮০আবদুল্লাহ আ’লা (রহঃ)...... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন।
হাদীস নং-২৮১ আয়্যাশ (রহঃ)...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার সঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ হল, তখন আমি জুনুবী ছিলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন, আমি তাঁর সঙ্গে চললাম। এক স্থানে তিনি বসে পড়লেন। তখন আমি সরে পড়ে বাসস্থানে এসে গোসল করলাম। আবার তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে বসা অবস্থায় পেলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ আবূ হুরায়রা! কোথায় ছিলে? আমি তাঁকে (ঘটনা) বললাম। তখন তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্ ! মু’মিন অপবিত্র হয় না।
হাদীস নং-২৮২আবূ নু’আয়ম (রহঃ)...... আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি জানবাতের অবস্থায় ঘুমাতেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিতেন।
হাদীস নং-২৮৩ কুতাইবা ইবনু সা’ঈদ (রহঃ)...... ‘উমর ইবনুু’ল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমাদের কেউ জানবাতের অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ হাঁ, উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিলে জানবাতের অবস্থায়ও ঘুমাতে পারে।
হাদীস নং-২৮৪ ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ)...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানবাতের অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র মত উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন।
হাদীস নং-২৮৫ মূসা ইবনু ইসমা’ঈল (রহঃ)...... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ‘উমর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ হাঁ, যদি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নেয়।
হাদীস নং-২৮৬ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ)........ আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, রাত্রে কোন সময় তাঁর জানবাতের গোসল ফরয হয় (তখন কি করতে হবে?) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে, তারপর ঘুমাবে।
হাদীস নং-২৮৭ মু‘আয ইবনু ফাযালা (রহঃ)....... ও আবূ নু’য়ম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সঙ্গত হলে, গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। ‘আমর (রহঃ) শু’বার সূত্রে এই হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর মূসা (রহঃ) হাসান [বসরী (রহঃ)] সূত্রেও অনুরূপ বলেছেন।
[আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারি) (রহঃ) বলেনঃ এটা উত্তম ও অধিকতর মজবুত। মতভেদের করনে আমরা অন্য হাদীসটিও বর্ণনা করেছি, গোসল করাই অধিকতর সাবধানতা।]
হাদীস নং-২৮৮ আবূ মা’মার (রহঃ)...... যায়দ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ স্বামী-স্ত্রী সংগত হলে যদি মনি বের হয় (তখন কি করবে)? উসমান (রাঃ) বললেনঃ সালাত (নামায/নামাজ)-এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র মত উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। ‘উসমান (রাঃ) বলেনঃ আমি এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। এরপর ‘আলী ইবনু আবূ তালিব, যুবায়র ইবনুল-আওওয়াম, তালহা ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ্ ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তাঁরা সবাই ঐ একই জবাব দিয়েছেন। আবূ সালামা (রহঃ) আবূ আয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি [ আবূ আবয়্যূব (রাঃ)] এ কথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন।
হাদীস নং-২৮৯মূসা’দ্দাদ (রহঃ)...... উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হলে যদি বীর্য বের না হয় (তার হুকুম কি)? তিনি বললেনঃ স্ত্রীর থেকে যা লেগেছে তা ধুয়ে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে ও সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে।
আবু আবূদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেনঃ গোসল করাই শ্রেয়। আর তা-ই সর্বশেষ হুকুম। আমি এই শেষের হাদীসটি বর্ণনা করেছি মতভেদ থাকার কারনে। কিন্তু পানি (গোসল) অধিক পবিত্রকারী।

No comments:

Post a Comment