কারক ও বিভক্তি বাংলা ব্যাকরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারক বিভক্তি পড়তে হয়না এমন ছাত্রকে পাওয়া যাবেন। কিন্তু কারক বিভক্তি মনে রাখা অনেকেরই কাছে জটিল মনে হয়। ইংরেজি গ্রামারের চেয়ে বাংলা ব্যাকরণ বেশ কঠিণ। আজকের এই পর্বে আমরা জানবো একটি বাক্যের মাধ্যমে সকল কারকের পরিচিতি।
বেগম সাহেবা প্রতিদিন ড্রাম থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন।
এখানে
১। বেগম সাহেবা কর্তৃকারক
২। চাল কর্মকারক
৩। হাতে করণ কারক
৪। গরিবদের সম্প্রদান কারক
৫। ড্রাম অপাদান কারক
৬। প্রতিদিন অধিকরণ কারক
কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া গেলে কর্তৃকারক। কে প্রতিদিন ড্রাম থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন? উত্তর হবে- বেগম সাহেবা।
কি বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া গেলে কর্মকারক। বেগম সাহেবা প্রতিদিন ড্রাম থেকে নিজ হাতে গরিবদের কি দিতেন? উত্তর হবে- চাল।
কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পেলে সেটি করণ কারক। বেগম সাহেবা প্রতিদিন ড্রাম থেকে গরিবদের চাল দিতেন কিসের দ্বারা? উত্তর হবে-হাত দ্বারা বা হাত দিয়ে।
কর্মকারকের মত কাকে দিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া যাবে। তবে এখানে স্বত্ব থাকবেনা। যেমন মানুষ ভিক্ষারীকে দান করে কোন স্বত্ব ছাড়াই যাকে বলে নি:শর্ত ভাবে। আবার গুরুজনকে মানুষ সম্মান করে কোন স্বার্থ ছাড়াই। গরীবদের মানুষ সাহায্য করে তার কাছ থেকে কোন স্বার্থ পাওয়ার আশা ছাড়াই। বেগম সাহেবা প্রতিদিন ড্রাম থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন। কাদের চাল দিতেন? উত্তর হচ্চে- গরীবদের।
হতে, থেকে বুঝালে অপাদান কারক হবে। বেগম সাহেবা প্রতিদিন নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন কোথা থেকে বা কোথা হতে? উত্তর হবে-ড্রাম থেকে।
ক্রিয়ার সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে। কোথায়, কথন দ্বারা প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া গেলে সেটি অধিকরণ কারক। বেগম সাহেবা ড্রাম থেকে নিজ হাতে গরিবদের চাল দিতেন কথন? উত্তর হবে-প্রতিদিন।
কারক ও বিভক্তি সম্পর্কে আমাদের কারক ও বিভক্তি মনে রাখার কৌশল পোস্ট পড়ুন।
No comments:
Post a Comment