১. লেবুর রস চুলের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে। লেবুর রস চুলে দিলে সূর্যের তাপ মাথাকে গরম করতে পারবে না।
২. লেবুর রস অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এতে ক্ষয়প্রাপ্ত হবেনা। আর ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠবে।
৩. শীতকালে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার ঠোঁট হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।
৪. চুলে তেল দিলে শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস চমৎকার কাজ করে। লেবুর রসে চুলের তেলতেলে অংশ শুষে নেয় আর চুল হয় ঝরঝরে।
৫. লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে যা ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
৬. লেবুর রস বয়সের ছাপের বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। বলি রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
৭. দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও ভালো কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানান। তার পর দাঁত মেজে দেখুন কী ফল দাঁড়ায়।
৮. মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি অনেক সময় খসকসে হয়। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান তাহলে দেখতে পাবেন এর কার্যকারীতা কী।
৯. যাদের ত্বকে শুষ্কভাব রয়েছে তারা কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। এতে আপনার ত্বক সুন্দর,কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
১০. লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে দিলে দুর্গন্ধ চলে যাবে।
১১. মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এক টুকরো লেবুর রসের সঙ্গে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগান এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলু্ন।
১২. মুখের ব্রন এবং ব্রনের দাগ মুছে ফেলার জন্য লেবুর রস ত্বকে মাখতে পারেন।
১৩. আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে আদ্রতা আনবে।
লেবুতে কী এ্যাসিডিটি হয়?
যাদের একটু আধটু পেটে গ্যাসের সমস্যা রয়েছে কিংবা পেপটিক আলসার রয়েছে, তারা খাবার সময় লেবুকে এড়িয়ে চলেন। তাদের ধারণা, লেবু নিজেই একটি অ্যাসিড। আর এই অ্যাসিড পেটে গ্যাসের উদ্রেক করবে। তাদের এ ধারণা সঠিক নয়। কারণ লেবুতে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা পাকস্থলীর সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সাইট্রেট, পটাশিয়াম সাইট্রেট ইত্যাদি যৌগ তৈরি করে। এদিকে পাকস্থলী থেকে ক্ষরিত হয় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। এর আধিক্য মূলত বুক জ্বালা ও গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি করে। এ ক্ষেত্রে ক্ষারধর্মী সোডিয়াম সাইট্রেট যৌগটি বাড়তি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাকে নিউট্রালাইজ করে। এতে আর বদহজম হয় না। অর্থাৎ লেবু হজমে সুবিধা করে।
সুতারং বলা যায় যারা ধারণা করে লেবু খেলে এ্যাসিডিটি হতে পারে তাদের ধারণা সঠিক নয়। লেবু একটি মহামূল্যবান ফল যার গুনাগুন এত এত বেশি যে অল্প কথায় বলা সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment