Jan 26, 2020

শিশুর প্রথম খাবারে কী দেবেন, কী দেবেন না?

শিশুর প্রথম খাবার তো অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শাল দুধ ও পরবর্তী ছয় মাস শুধু বুকের দুধই শিশুর আদর্শ খাবার। শিশুর প্রথম ছয় মাসের উপযোগী ক্যালরি, প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান, ভিটামিন, খনিজ ও রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি- সব মায়ের দুধে বিদ্যমান। তবে ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে এর সঙ্গে অন্য খাবারও দিতে হবে। এ সময় মায়েরা বিভ্রান্তিতে পড়েন, কী খেতে দেবেন আর কী দেবেন না। কী খেলে পেট খারাপ হতে পারে, আবার কী খেলে বেশি পুষ্টি হবে েএবং শিমু দ্রুত বাড়বে।
* ছয় মাস পূর্ণ হলে শিশুকে বাড়িতে তৈরি তরল-আধা তরল নরম চটকানো ডাল, ভাত ও সবজি দিতে হবে। একে একে তাতে মাছ-মাসংস চটকে দিতে হবে, যাতে গলায় না আটকায়। চামচ দিয়ে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে। ফলের রস, কলা চটকেও দেওয়া যাবে। প্রথমে একবার, তারপর দিনে তিনবার এই খাবার দেওয়া উচিত।
* আট নয় মাস পূর্ণ হলে দৈনিক পাঁচবার দুধের বাইরে খাবার দিতে হবে। এটা হতে পারে হালুয়া, পায়েস, ফিরনি, সেমাই, দুধ, কলা, দই, পেঁপে, পুডিং ইত্যাদি। ছোট শিশুর জন্য ১২৫ মিলি এবং একটু বড় শিশুর জন্য একবারে ২৫০ মিলি পরিমাণ  এ রকম আধা তরল বা নরম খাবার দেবেন।
baby image
* শিশুর খাদ্য তালিকায় রোজ দু-একটি তাজা ফল ও সবজি থাকা উচিৎ।
* কম তেল-চর্বিযুক্ত খাবার শিশুর জন্য ভালো। এতে পেটে গ্যাস কম হয়। টক দই, শসা, ছোট মাছ, গাজর ও তাজা সবজির নানা রেসিপি স্বাস্থ্যকর।
* মায়ের দুধ দুই বছর পর্যন্ত চলতে পারে, তবে ৯-১২ মাস বয়স থেকে অন্য দুধ বা দুধের তৈরি খাবার দেওয়া যাবে।
* পানি মিশ্রিত খোলা গরুর দুধে সুজি বা চালের গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ানো অস্বাস্থ্যকর।
পরামর্শ দিয়েছেন- অধ্যাপক রণজিত রঞ্জন রায়, শিশু নেফ্রোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ।

পরামর্শ- শিশুর কোন বিষয়ে নিজেরা বা ফার্মেসির লোকজনের পরামর্শে কোন কিছু খাওয়াবেন না। নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, কিংবা কোন শিশু বিশেযজ্ঞের পরামর্শ দিন। মনে রাখুন- আপনার  একটি ভুল সিদ্ধান্তই আপনার শিশুর জন্য মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। যার মাশুল আপনার জন্য সারাজীবন ধরে দেওয়া লাগতে পারে। তাই আসুন, আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হই, বিশেযজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা গ্রহণ করি।

No comments:

Post a Comment